
ডক্টর শাহ মুহাম্মদ ফারুক
সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি)
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।
জন্ম: উথুরা ফকির বাড়ি, ভালুকা, ময়মনসিংহ।
পিতা: মরহুম এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী মিয়া, অ্যাডভোকেট ময়মনসিংহ জর্জ কোর্ট।
পরিবারের অন্যান্য সদস্য: ভাই- ডঃ শাহ মুহাম্মদ ফরিদ সাবেক কেবিনেট সচিব, বাংলাদেশ সচিবালয়।
(ভবিষ্যতে লিখবো ইনশাআল্লাহ)
এবং অস্ট্রিয়া প্রবাসী মরহুম শাহ মোহাম্মদ ফরহাদ।
স্ত্রী- অধ্যাপিকা রায়হানা ফারুক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও বর্তমান সদস্য, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি।
পেশা জীবন: তিনি ২৩.০৮.১৯৯৩ থেকে ১৩.১১.১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাকৃবির উপাচার্যের দ্বায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) হতে যান্ত্রিক প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে বাকৃবিতে কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র হতে পি. এইচ. ডি. ডিগ্রি অর্জন করে কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, অনুষদের ডীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন।
রাজনৈতিক জীবন: ডক্টর শাহ মোহাম্মদ ফারুক ২০০১ সনে ধানের শীষ প্রতীকে ময়মনসিংহ- ১১ ভালুকা আসন থেকে নির্বাচন করেন।
ভালুকার আপামর মানুষ উনাকে অত্যন্ত সম্মান এবং শ্রদ্ধার সহিত ভালুকার ইতিহাসে ধানের শীষ প্রতীকে বিপুল পরিমাণে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক কুটচালে উনাকে পরাজয় বরণ করতে হয়, যেখানে বিএনপি’র শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
ডঃ শাহ মুহাম্মদ ফারুক সাহেব চাইলে প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে তৎকালে এমপি হতে পারতেন, এটা ভালুকার সচেতন মহলের সকলের জানা ইতিহাস। উনাকে প্রশাসন থেকে শুধুমাত্র হ্যাঁ সূচক সম্মতি চেয়েছিল তিনি উত্তর দিয়েছিলেন আমি অবৈধভাবে সংসদ সদস্য হতে চাইনা, জনগণের সিদ্ধান্ত আমি সাদরে গ্রহণ করেছি।
মৃত্যু : তিনি ২০২১ সালে ইন্তেকাল করেন।
মহান আল্লাহ এই কীর্তিমান ব্যক্তিকে জান্নাত নসিব করুন।