ভাষা সৈনিক মোস্তফা এমএ মতিন

মোস্তফা এম এ মতিন:

মতিন ১ আগস্ট ১৯৩৪ সালে ময়মনসিংহের ভালুকার সাতেঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম তাহের উদ্দিন শেখ এবং মাতা হাজেরা খাতুন। ৪ ভাই ২ বোনের মধ্যে মোস্তফা মতিন চতুর্থ। তিনি মা-বাবার কনিষ্ঠ পুত্র আবদুল মতিন ১৯৫০ সালে গফরগাঁও ইসলামিয়া সরকারি হাই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক ও ১৯৫২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএ পাস করেন। জগন্নাথ কলেজ থেকে বি.এ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি. ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা জেলা বারে আইন পেশায় যোগদান করেন।

মতিন বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করে আমৃত্যু আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এর পূর্বে মতিঝিল টি এন্ড টি হাই স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ছাত্রাবস্থাতে রাজনীতে যুক্ত হন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ সকল আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

মতিন ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ ও ১৯৭৩ সালে বিলুপ্ত ময়মনসিংহ-১৮ আসন (বর্তমান ময়মনসিংহ-১১) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় নির্বাচনে তিনি ময়মনসিংহ-১১ আসন থেকে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েহিলেন।

তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রবাসী সরকারের স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে সরকারের অর্থনৈতিক সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দুই মেয়াদে (২০০১ ও ২০০২) দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৫২ সালে বাংলা ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের স্বীকৃতিস্বরুপ ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০০০ সালে মতিনকে ভাষা সৈনিক হিসেবে সংবর্ধনা ও স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
একুশে পদক ২০২২ (মরণোত্তর)
ভাষা সৈনিক মোস্তফা এম এ মতিন স্বরনে ময়মনসিংহ জয়নুল আবেদীন পার্কে ভাষা সৈনিক এডভোকেট মোস্তফা এম.এ. মতিন পৌর পাঠাগার স্থাপন করা হয়।

1 thought on “ভাষা সৈনিক মোস্তফা এমএ মতিন”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top