বাণিজ্যিক চাষের শুরম্ন যেখানে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলা থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে উথুয়া ইউনিয়নের হাতিবেড় গ্রাম এখন কুমির চাষের মডেল। বলতে গেলে দেশে প্রথমবারের মতো কুমির চাষে বিপস্নব এই গ্রাম থেকেই।
বেসরকারী প্রতিষ্ঠান রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড ২০০৪ সালে কুমিরের খামার প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশ ব্যাংক সহ আরেকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সহায়তায় গড়ে তোলা হয় এ খামার। ৭৫টি কুমির দিয়ে খামারের যাত্রা শুরম্ন। পরে কুমিরের ডিম থেকে কৃত্রিমভাবে বাচ্চা ফোটানো হয়। বর্তমানে এ খামারে কুমিরের সংখ্যা ৮২৫-এর বেশি। এর মধ্যে পনেরোটি পুরম্নষ। কুমিরের বৈজ্ঞানিক নাম-( ক্রোকোডিডিলাস পোরোসাস)। খামারে মোট কুমিরের মধ্যে ৬৭ বড় আকারের। চলতি বছর প্রজনন বাড়াতে আগামী বছর আরো ১০০ স্ত্রী কুমির আমদানি করবে খামার কতর্ৃপৰ।
এ খামারে সব লোনা পানির কুমির। বিশ্বে লোনা পানির কুমিরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ২০০৪ সালের ৫ মে এ খামার প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়। পরে উদ্যোক্তারা আনত্মর্জাতিক সংস্থা ‘সিআইটিইএসে’র অনুমাদন নিয়ে মালয়েশিয়ার সারওয়াত থেকে সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫ কুমির আমদানি করে।
২০০৪ সালের ২২ মে কুমির খামারে ছাড়া হয় কুমির। হাতিবেড় এলাকায় কুমির চাষ প্রকল্প স্থাপনে ১৩ একর জমির মধ্যে চার একর জমির মাটি কেটে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ৩২ পুকুর তৈরি করা হয়েছে। পুকুরগুলোর তলদেশ পাকা। তিন ফুট ইটের ওপর তিন ফুট কাঁটাতারের বেষ্টনী। প্রাকৃতিক পরিবেশে কুমির পালন ও বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করার জন্য চারপাশে ৪০ প্রজাতির ছয় হাজার ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানো হয়েছে। লাগানো হয়েছে কৃত্রিম ঘাসও। কুমিরের খাবার হিসেবে দেয়া হচ্ছে মাছ ও মাংস।