গরীব কৃষক বাবার সন্তান জাহাঙ্গীর বিসিএস ক্যাডার

ছবিতে যে ব্যক্তিকে দেখতে পাচ্ছেন তিনি ভালুকার সন্তান নকলা উপজেলার বর্তমান ইউএনও #জাহাঙ্গীর আলম।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি আগুনে পুরে যাওয়া একটি পরিবারকে কিছু শুকনো খাবার এবং আর্থিক সহযোগীতা করছেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

অতীতের দিকে তাকাই, এই জাহাঙ্গীর আলম ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ভান্ডাব গ্রামের একজন কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবার সন্তান। উনার বাবা ভালুকা বাজারে রাস্তার পাশে বসে তামাকপাতা বিক্রি করতেন এবং কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

জাহাঙ্গীরও ছাত্রজীবনে ছিলো তার বাবার কৃষি কাজের সঙ্গী। তার ছাত্রজীবনে হঠাৎ তাদের বাড়িতে সম্ভাবত মশার কয়েল থেকে আগুন লাগে এবং ভাইবোন বাবা মা থাকার মাত্র একটি ঘরই ছিলো যা পুরে ছাই হয়ে যায়।

পুরে ছাই হয় কয়েকটা গরু। নিঃস্ব তার পরিবার, তখন তারা পাইনি কোন আর্থিক সহযোগীতা। তাদের আত্মীয়, শুভাকাঙ্ক্ষী, গ্রামের সকলের সহযোগীতায় ঘর পূর্ণনির্মান করা হয় তখন।

একজন পরিশ্রম করে খেটে খাওয়া বাবার সন্তান কঠোর পরিশ্রম আর নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া করে হয়েছে বিসিএস ক্যাডার।

তিনি প্রথমে সিলেট জেলায় সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলায় এসিল্যান্ড হিসেবে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তার বাবাও নিয়েছে সকল কাজ থেকে অবসর। জাহাঙ্গীর আলম এখনো সাদামাটা জীবন যাপন করে। দেখে রাখেন তার বাবা মা ভাই বোনকে। ছুটিতে গ্রামে গেলে মিশে যায় গ্রামের মানুষের সাথে।

ভাগ্য পরিবর্তনশীল আগুনে পুড়ে যাওয়া জাহাঙ্গীরের ঘর সেই দিনগুলি হয়তো মনে পড়ে তার, আজ তিনি আগুনে পুড়ে যাওয়া অন্য পরিবারের সহায়তা প্রদান করার মাধ্যম। তার সততা তার বাবা মায়ের দোয়া গ্রামের মানুষের দোয়া সব সময় তার কাছে আছে। তিনি এখন ভালকার সুযোগ্য সন্তান, আল্লাহ পাক তার মঙ্গল করুক।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top